পৃথিবী
Bangla Choto Golpo
Bangla Choto Golpo
তনুজা যখন খুব ছোট্টো, গুটিগুটি হাঁটতো, তখন প্রথম শুনেছিল পৃথিবী শব্দটা; ডালি পিসি মনির কাছে ওর মা বলেছিলেন - তনুজাই আমার পৃথিবী ।
পৃথিবী শব্দটার অর্থ যে কি বৃহৎ সেদিন বোঝেনি তনুজা - কিন্তু আজ বোঝে ,
বুঝেছে ক্রমশ ক্রমান্বয়ে বয়সের প্রতিটি মোড়ে প্রতিটি বাঁকে প্রতিটি পলকে ।
শৈশবের পৃথিবীটা ছিল অন্যরকম - মায়ের আঁচলে বসে পরীদের গল্প শোনার পৃথিবী, আর নিজেকে কল্পনার পাখায় ভাসিয়ে দিয়ে পক্ষীরাজ ঘোড়ায় চড়ে --কোনো অভিশপ্ত পাষান রাজপুরিতে গিয়ে --ঘুমন্ত রাজকন্যাকে সোনার কাঠির পরশে জাগিয়ে তোলার এক অন্য পৃথিবী ।
তারপর কৈশোর এলো, ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকলো তনুজার পৃথিবীর পরিধি ;
পৃথিবীটা মায়ের আঁচল থেকে বেড়ে পৌঁছে গেল সহপাঠিনীদের সাহচর্যে,
তাদের সঙ্গে উদ্যাম আনন্দে এক একটা দিন কাটিয়ে দেওয়ার পৃথিবী।
একদিন হঠাৎ তনুজা বুঝলো সে যৌবনবতী, পৃথিবীটা আরো বৃহৎ হলো,
কি জানি কি কারনে ভালোলেগে গেল কোনো এক সুদর্শন যুবককে।
তারপর, সেই সুদর্শন যুবকের হাত ধরে বাড়তে লাগলো তার পৃথিবীর পরিধি,
একদিন তনুজার সিঁথি সিঁদুর রাঙা হলো -অরুণাভ-র আঙ্গুলের ছোঁয়ায়;
পৃথিবীটা তখনও সরল গোলক ছিল।
একটা দুর্ঘটনা এল, তনুজার সরল গোলক পৃথিবীটা হঠাৎই বক্র হয়ে গেল;
বাঁধ ভাঙা চোখের জলে ভাসলো তনুজার আগামী দিনের পৃথিবী!
আজ তনুজার ধূসর সিঁথি ডুকরে কাঁদে, চোখ মোছে স্মৃতির চাদরে ।
নীল আকাশে উড়ে যাওয়া বলাকা শ্রেনীর দিকে তাকিয়ে ভাবে --
কেমন করে পৃথিবীর সব রং ধূসর হয়ে যায় !
বাবা- মা -শ্বশুর -শাশুড়ীর স্বান্তনা জোটে অবিরত, সেও এক পৃথিবী;
রক্তক্ষরিত মানুষের অপরের রক্তক্ষরণ সামাল দেওয়ার প্রয়াস ।
পৃথিবী নামক শব্দটার রং কিভাবে মুহূর্তে বদলে যায় তা তনুজার প্রত্যক্ষ,
একদিনের রঙ্গিন পৃথিবী একদিনেই হয়ে যায় অশ্রুভেজা পৃথিবী - বিবর্ণ ধূসর পৃথিবী;
ঘটে যায় -হয়ে যায় -সবই ভাগ্য -- শব্দগুলোই এখন তনুজার পৃথিবী।
পৃথিবী শব্দটার অর্থ যে কি বৃহৎ সেদিন বোঝেনি তনুজা - কিন্তু আজ বোঝে ,
বুঝেছে ক্রমশ ক্রমান্বয়ে বয়সের প্রতিটি মোড়ে প্রতিটি বাঁকে প্রতিটি পলকে ।
শৈশবের পৃথিবীটা ছিল অন্যরকম - মায়ের আঁচলে বসে পরীদের গল্প শোনার পৃথিবী, আর নিজেকে কল্পনার পাখায় ভাসিয়ে দিয়ে পক্ষীরাজ ঘোড়ায় চড়ে --কোনো অভিশপ্ত পাষান রাজপুরিতে গিয়ে --ঘুমন্ত রাজকন্যাকে সোনার কাঠির পরশে জাগিয়ে তোলার এক অন্য পৃথিবী ।
তারপর কৈশোর এলো, ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকলো তনুজার পৃথিবীর পরিধি ;
পৃথিবীটা মায়ের আঁচল থেকে বেড়ে পৌঁছে গেল সহপাঠিনীদের সাহচর্যে,
তাদের সঙ্গে উদ্যাম আনন্দে এক একটা দিন কাটিয়ে দেওয়ার পৃথিবী।
একদিন হঠাৎ তনুজা বুঝলো সে যৌবনবতী, পৃথিবীটা আরো বৃহৎ হলো,
কি জানি কি কারনে ভালোলেগে গেল কোনো এক সুদর্শন যুবককে।
তারপর, সেই সুদর্শন যুবকের হাত ধরে বাড়তে লাগলো তার পৃথিবীর পরিধি,
একদিন তনুজার সিঁথি সিঁদুর রাঙা হলো -অরুণাভ-র আঙ্গুলের ছোঁয়ায়;
পৃথিবীটা তখনও সরল গোলক ছিল।
একটা দুর্ঘটনা এল, তনুজার সরল গোলক পৃথিবীটা হঠাৎই বক্র হয়ে গেল;
বাঁধ ভাঙা চোখের জলে ভাসলো তনুজার আগামী দিনের পৃথিবী!
আজ তনুজার ধূসর সিঁথি ডুকরে কাঁদে, চোখ মোছে স্মৃতির চাদরে ।
নীল আকাশে উড়ে যাওয়া বলাকা শ্রেনীর দিকে তাকিয়ে ভাবে --
কেমন করে পৃথিবীর সব রং ধূসর হয়ে যায় !
বাবা- মা -শ্বশুর -শাশুড়ীর স্বান্তনা জোটে অবিরত, সেও এক পৃথিবী;
রক্তক্ষরিত মানুষের অপরের রক্তক্ষরণ সামাল দেওয়ার প্রয়াস ।
পৃথিবী নামক শব্দটার রং কিভাবে মুহূর্তে বদলে যায় তা তনুজার প্রত্যক্ষ,
একদিনের রঙ্গিন পৃথিবী একদিনেই হয়ে যায় অশ্রুভেজা পৃথিবী - বিবর্ণ ধূসর পৃথিবী;
ঘটে যায় -হয়ে যায় -সবই ভাগ্য -- শব্দগুলোই এখন তনুজার পৃথিবী।
Nice
উত্তরমুছুনGreat work
উত্তরমুছুনGreat work
উত্তরমুছুনNice
উত্তরমুছুনNice
উত্তরমুছুনnice
উত্তরমুছুনNice one!
উত্তরমুছুনKhub sundar
উত্তরমুছুনFantastic
উত্তরমুছুনNeed more new story
উত্তরমুছুনএকটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Please do not enter any spam link in the comment box.