চটকপুর ভ্রমণ, সৌজন্যে- শুভাশিস দাস। 

chatakpur_gate


দার্জিলিং জেলার উচ্চতম গ্রাম গুলির মধ্যে অন্যতম হলো চটকপুর (উচ্চতা ৭৮৮৭ ফুট)।।সিঞ্চল অভয়ারণ্যের অন্তর্গত সবুজে মোড়া এই গ্রাম।নিস্তব্ধতা, জঙ্গলময় পরিবেশ, বুনো গন্ধের শিহরন,নাম না জানা অসংখ্য পাখির কলতান,সরলতায় ভরপুর পাহাড়ি মানুষের আতিথেয়তা এখানকার মূল আকর্ষন।

chatakpur

সমগ্র চটকপুর গ্রামটিকে দুটি অংশে ভাগ করা যায়- আপার চটকপুর ও লোয়ার চটকপুর। মোট ২৩ টি পরিবার এর বাস এই গ্রাম টি তে।লোয়ার চটকপুরে রয়েছে ফরেস্ট ডিপার্টমেন্টের বাংলো। আপার চটকপুরে একটি ভিউ পয়েন্ট রয়েছে।এখান থেকেই কাঞ্চনজঙ্ঘা কে উপভোগ করা যায়।এছাড়া আপার চটকপুরের প্রায় প্রতিটি হোমস্টে থেকেই কাঞ্চনজঙ্ঘার দেখা মেলে।
 
 
 
তথাকথিত সাইডসিইং এখানে হয়না।সেঞ্চল ফরেস্টের মধ্য দিয়ে একটি জঙ্গল ট্রেক করা যায়।।বুনো পথে পথ চলতে চলতে, পাখির কলতানে বিহ্বল হয়ে হারিয়ে যাওয়া যায় এক নৈসর্গিক জগতে।।জঙ্লের মধ্যেই রয়েছে এক পোখরি বা লেক।।স্থানীয় মানুষজনের কাছে এটি একটি পবিত্র জলাশয়।।পূজোর জন্য পাশেই রয়েছে থান।।

beauty-of-chatakpur

সব মিলিয়ে চটকপূর ব্যস্ত নাগরিক জীবনের ক্লান্তি কাটানোর অন্যতম ডেসটিনেশন হতে পারে।।এখান থেকে মুক্ত প্রকৃতির যে অক্সিজেন নিয়ে ফিরবেন,বন্য পরিবেশের যে রোমাঞ্চকর অনুভূতি সাথে নিয়ে আসবেন তা বহুদিন আপনাকে সজীব রাখবে।। তাই এবারের আপনাদের গন্তব্য হোক চটকপুর।।


****কিভাবে যাবেন???
★রিজার্ভ গাড়িতে গেলে এনজেপি বা শিলিগুড়ি বা বাগডোগরা থেকে সরাসরি চটকপুর যেতে পারবেন।(ভাড়া ৩৫০০টাকা)
★সেয়ার গাড়িতে গেলে দার্জিলিং গামী যেকোনো শেয়ার গাড়ি বা বাসে সোনাদা যেতে হবে এবং সেখান থেকে রিজার্ভ গাড়িতে চটকপুর।।
★চাইলে ট্রেক করেও সোনাদা থেকে চটকপুর যাওয়া যায়।। 

****কোথায় থাকবেন???
এখানো আসলে আপনাকে হোম স্টেতেই থাকতে হবে।।কয়েকটি হোমস্টের নাম ও ফোন নং সাথে রইলো।।
১)আকৃতি হোমস্টে(এটাতেই আমরা থেকেছি) -৯৯৩৩১০৪২৩০/৭০২৯৬২৬৬৯৭
২)সানরাইস হোমস্টে -৮১১৬৯৬৯৫৬৩
৩)রুমন হোমস্টে - ৯০০২৭২০১২৯
৪)ধনমায়া নিবাস হোমস্টে - ৮৯৬৭৯৩৬৭২১

chatakpur_village

বিঃদ্রঃ
১)প্রকৃতিকে উপভোগ করবেন প্রকৃতিকে বাঁচিয়ে।।
২)স্থানীয় মানুষদের সন্মান করবেন।
৩)গ্রামের পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখবেন।
জীবন খুব কম সময়ের তাই যতটা সম্ভব পৃথিবীর রুপ,রস, গন্ধ আস্বাদন করুন।।ধন্যবাদ।।
--------------------------------------------------------------------------------------------------------------
লেখা ও ছবি:- শুভাশিস দাস।

Post a Comment

Please do not enter any spam link in the comment box.

নবীনতর পূর্বতন